Headlines
Loading...
কিছু হারাম বা নিষিদ্ধ নাম, শিশুদের রাখা উচিত নয়।

কিছু হারাম বা নিষিদ্ধ নাম, শিশুদের রাখা উচিত নয়।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুদের যেসব নাম রাখা হারাম

সব নামই যে হালাল তা কিন্তু নয়, কিছু হারাম বা নিষিদ্ধ নামও রয়েছে যা কখনই শিশুদের নাম রাখা উচিৎ নয় যথা -


প্রথমতঃ- আল্লাহর নাম নয় এমন কোনো নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম।

যেমন- 

  • আব্দুল ওজ্জা (ওজ্জার উপাসক), 
  • আব্দুশ শামস (সূর্যের উপাসক), 

    আব্দুল কালাম (কথার দাস),

  • আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস),

  • আব্দুন নবী (নবীর দাস)

  • গোলাম রসূল (রসূলের দাস)

  • গোলাম নবী (নবীর দাস),

  • আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস),

  • আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস),

  • আব্দুল আলী (আলীর দাস),

  • আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস),

  • আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস),

  • গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস),

  • গোলাম আবদুল কাদের (আবদুল কাদেরের দাস),

  • গোলাম মহিউদ্দীন (মহিউদ্দীন এর দাস) 

  • আব্দুল মোত্তালিব (মোত্তালিবের দাস),

  • আব্দুল কামার (চন্দ্রের উপাসক),

তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নামের মধ্যে ‘আব্দ’ শব্দটা থাকলেও ডাকার সময় ‘আব্দ’ শব্দটা ছাড়া ব্যক্তিকে ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে ডাকা হয় রহীম বলে।

এটি অনুচিত। আর যদি দ্বৈত শব্দে গঠিত নাম ডাকা ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন করাটাই শ্রেয়। এমনকি অনেক সময় আল্লাহর নামকে বিকৃত করে ডাকার প্রবণতাও দেখা যায়। এ বিকৃতির উদ্দেশ্য যদি হয় আল্লাহকে হেয় করা তাহলে ব্যক্তির ঈমান থাকবে না। আর এই উদ্দেশ্য না থাকলেও এটি করা অনুচিত।

দ্বিতীয়তঃ- অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম।

যেমন-
  • আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি; বরং আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে)
  • আব্দুল মাওজুদ (মাওজুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি)
তৃতীয়তঃ- মানুষ যে উপাধির উপযুক্ত নয় অথবা যে নামের মধ্যে মিথ্যাচার রয়েছে অথবা অসার দাবী রয়েছে এমন নাম রাখা হারাম।

যেমন-
শাহেনশাহ  (জগতের বাদশাহ) বা মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম বা উপাধি হিসেবে নির্বাচন করা।
সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা) নাম রাখা।

একই অর্থবোধক হওয়ার কারণে মহারাজ নাম রাখাকেও হারাম বলা হয়েছে।

চতুর্থতঃ- যে নামগুলো আল্লাহর জন্য খাস সেসব নামে কোন মাখলুকের নাম রাখা বা কুনিয়ত রাখা হারাম।

যেমন- 
  • আল্লাহ
  • আর-রহমান
  • আল-হাকাম
  • আর-রহিম
তাই এসব নামে কোন মানুষের নাম রাখা সমীচীন নয়।

পক্ষান্তরে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে যেগুলো শুধু আল্লাহর জন্য খাস নয়; বরং সেগুলো আল্লাহর নাম হিসেবেও কুরআন হাদিসে এসেছে এবং মাখলুকের নাম হিসেবেও এসেছে সেসব নাম দিয়ে মাখলুকের নাম রাখা যেতে পারে। কুরআনে এসেছে-

 قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ 
 
অর্থ- “আল আযিযের স্ত্রী বলেছেন”[ সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫১]

আল্লাহর নাম নয় এমন কোন নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম।

যেমন-
  • আব্দুল মোত্তালিব (মোত্তালিবের দাস), 
  •  আব্দুল কালাম (কথার দাস), 
  •  আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস), 
  •  আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস), 
  •  আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস), 
  •  আব্দুল আলী (আলীর দাস), 
  •  আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস), 
  •  আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস), 
  •  আব্দুন নবী (নবীর দাস), 
  •  গোলাম রসূল (রসূলের দাস), 
  •  গোলাম নবী (নবীর দাস), 
  •  গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), 
  •  গোলাম কাদের (কাদেরের দাস) ইত্যাদি।

0 Comments: