আমাদের দেশে মাযহাব নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়। ইসলামের যে চারটি মাজহাব রয়েছে তা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন ও মতবাদ রয়েছে। আমাদের আজকের ইসলামিক পোস্ট এ আমরা চার মাযহাবের ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।
চার মাযহাবের ইতিহাস |
মাযহাব কি
মাজহাব একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হল পথ, মত কিংবা অভিমত। ইমামদের গবেষণা ল্বদ যে, মত কিংবা অভিমত একেই আরবিতে মাজহাব বলে। সংক্ষেপ এ বলা যায় যে, যে পথের গন্তব্য কোরআন ও সুন্নাহ সেটাই হল মাজহাব।
অনেক সময় দেখা যায় কোরআন-হাদিসের যে বিধি-বিধান গুলো দেওয়া হয়েছে, সে গুলো সরাসরি বুজা বা মানা আমাদের জন্য কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে ওই বিষয় গুলো বুঝবার জন্য বা সহজ ভাবে আমল করার জন্য আমাদের মাযহাবের প্রয়োজন হয়। কোরআন ও হাদিসের সব চেয়ে বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা ই হচ্ছে মাজহাব।
মাযহাব এর পরিচয়
ইসলামে প্রসিদ্ধ মাজহাব হল চারটি: হানাফি, মালেকি, সাফি এবং হাম্বলী। আমরা জানি যে, কোরআন সুন্নাতে বিক্ষিপ্ত ভাবে অনেক কিছু উল্লেখ করা হয়েছে এবং মাযহাবে তা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
যেমনঃ নামাজে ফরজ, ওয়াজিব কয়টি তা কিন্তু আপনি কোরআন-হাদিস ঘাটাঘাটি করে বের করতে পারবেন না যে মোট এতটি নামাজের ফরজ বা মোট এতটি নামাজের ওয়াজিব। এভাবে কোরআনে কোথাও নেই।
মাজহাবের ইমামগন নিরলস প্রচেষ্টার ও গবেষণার মাধ্যমে এই রকম অনেক ইসলামিক প্রশ্নের উত্তর গুলো বের করার চেষ্টা করেছে এবং তাঁরা হাজার হাজার মাসালা ইস্তিম্বাত করেছেন। যে টা আমাদের ইসলামকে বুঝা বা সহজ করে মানার সুযোগ করে দিয়েছেন।
মাজহাব একাধিক হওয়ার কারণ কি?
আমরা জানি, মাজহাব অর্থ পথ, মত কিংবা অভিমত। সবার মত একরকম হবে টা কিন্তু না। আল্লাহর রাসুল (সঃ) অনেক ধরনের আমল করেছে। ভিন্ন ভিন্ন আমল করেছে। তাই সবার মতামত একরকম হবেনা এটাই স্বাভাবিক। তাই সবার মতামত একরকম হবেনা এটাই স্বাভাবিক।
যেমনঃ আমাদের মহানবী (সঃ) নামজের মধ্যে অনেক ভাবে হাত বাঁধতেন। বুকের উপর, নাভির উপর এবং নাভির সংলঘ্ন হাত বাঁধতেন। ফলে এইখানে একাধিক মতামত তৈরি হয়েছে।
এবিষয়ে শুধু মাজহাবের ইমামরা করেছে তেমন কিন্তু নয়, বরং সাহাবাদের যুগেও এরকম মতবিরোধ ছিল। কেউ বুকের উপর হাত বাঁধতেন আবার কেউ নাভির উপর হাত বাধতেন।
তাই বলা যেতে পারে মাজহাব একাধিক হওয়ার করণে ইসলামের কোন ক্ষতি হয়নি বরং সবাই ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করেছেন।
মাজহাব তৈরি হল কেন?
যখন মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) ও সকল সাহাবা একেরাম দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তখন অনেক আলেম রা অনেক মতামত প্রদান করা শুরু করলেন। একসময় দেখা গেল অনেক মাজহাব তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে।
তখন ওই সময় ইসলাম মানতে বা বুঝতে অনেক কঠিন হয়ে পরেছিল। তখন সকল ইমামগণ এবং আলেমগণ মিলে ৪ বড় ইমাম এর মতামত কে গ্রহণ করে। ইমামদের নাম অনুযায়ী মাজহাবের নাম রাখা হয়।
ইমামে আজম আবু হানিফা রহঃ এর মাজহাবের নাম হানাফি। ইমাম শাফিয়ি রহঃ এর মাজহাবের নাম শাফি। ইমাম মালেক রহঃ এর মাজহাবের নাম মালেকি এবং ইমাম আহাম্মাদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর মাজহাবের নাম হাম্বলি।
0 Comments: