Headlines
Loading...
ইসলামিক নাম রাখার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ইসলামিক নাম রাখার ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

শিশুর নাম করণের ক্ষেত্রে ১২টি নির্দেশনা

একজন শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয়। শিশুর নামকরণের ক্ষেত্রে কতিপয় বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।


১.নাম সুন্দর, মার্জিত, শ্রুতিমধুর ও অর্থবহ হওয়া প্রয়োজন।

২.আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রহমান তথা আল্লাহর সত্তাবাচক বা গুণবাচক নামের আগে আবদ বা অন্য শব্দ যোগ করে নামকরণ করা ভাল। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে ডাকার সময় যেন আবদ বা অন্য শব্দ যোগ করে ডাকা হয়। শুধু রহমান, রহীম, রাজ্জাক ইত্যাদি গুণবাচক নামে যেন ডাকা না হয়।

৩.নামের আগে কুনিইয়া রাখা যায়। আল্লাহর রাছুল এ ধরনের কুনিইয়া রাখতেন।

৪.মুসলিম শিশুর এমন নাম রাখা উচিত যা শোনার সাথে সাথে বুঝা যায় এটা এক জন মুসলিম শিশুর নাম। অনেক সময় দেখা যায় এমন নাম রাখা হয় যা শুনে বুঝা যায় না এটা কি মুসলিম শিশুর নাম না অন্য কোন ধর্মাবলম্বীর? আবার অনেক সময় ছেলে বা মেয়ের নামের মধ্যে ফারাক করা যায়না।

যেমন কাজল, নিশাত, ময়না, টিংকু, শীতল, রীতা, অভি ইত্যাদি।
৫.যে সকল গুণবাচক নামের হকদার একমাত্র রাসুলে কারীম (সঃ) সে সব নামে কারও নামকরণ করা ঠিক নয়।

যেমন- খাতামুন্নাবীয়্যীন (সর্বশেষ নবী), সাইয়েদুল মুরসালীন (রাসুলগণের নেতা)।

৬.আল্লাহ পাকের যাতী নামে কারও নামকরণ করা হারাম। শুধু আল্লাহ কারও নাম রাখা জায়েয নাই। অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে খাস এমন কোন নাম কারো সাথে লাগোনো যাবেনা।

যেমন- মালেকুল মুলক (জগতের বাদশাহ) সুলতানুস সালাতীন (বাদশাহদের বাদশাহ) ইত্যাদি।

৭.ফেরেশতাদের নামে নামকরণ করাও অধিকাংশ আলেমের মতে নিষিদ্ধ। তাই জিবরীর, ইসরাফীল, আজরাঈল, মীকাঈল ইত্যাদি নামে নামকরণ করা ঠিক নয়।

৮.যে সকল নাম ইসলামের ইতিহাসে খুবই ঘৃণিত সে সকল নামে কোন শিশুর নামকরণ করা ঠিক নয়।

যেমন- ইবলীশ, শাদ্দাদ, কারুন, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব প্রভৃতি নাম রাখা উচিত নয়।

৯.যে সব নামে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের অর্থ বুঝা যায় সে ধরনের নাম রাখাও ঠিক নয়।
যেমন- আচিয়া (বিদ্রোণী)।

১০.শিশুর একটি সুন্দর নাম রাখা ভাল। তবে কোন কারণে একাধিক নাম রাখা যেতে পারে।

১১.কারও নাম যদি অসুন্দর হয়, সে বড় হয়ে গেলেও তার নাম পরিবর্তন করা যায়।

১২.এমন কোন নাম রাখা ঠিক নয় যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও আবদ বা গোলাম হওয়া বুঝায়।

যেমন- গোলাম মোস্তফা, গোলাম নবী, গোলাম রাসুল, আব্দুন্নবী, আব্দুস শামস ইত্যাদি। 

1 টি মন্তব্য