এইটা প্রমাণিত যে, আমল করার চাইতে বর্তমান সময়ে গুনাহ থেকে বাচা অনেক কঠিন। আল্লাহর কাছে তার আমল বেশি পছন্দনিয় যে, আমল করে এবং আল্লাহর আজাবের ভয়ে গুনাহ থেকে দূরে থাকে। অনেক গুনাহ আছে যা, জাহান্নাম কামাই করার জন্য একটি করলেই যথেষ্ট। যেমন: শিরক করা (আল্লাহর সাথে কারো তুলোনা করা), মিথ্যা কথা বলা, অহংকার করা ইত্যাদি।
কিছু কাজ আছে যা করলে আমরা গুনাহ থেকে বাচতে পারবো বা নফসের ধোকা বা থেকে বাচার উপায়। এই বিষয় গুলো আমাদের সবাইকে জানানো প্রয়োজন।
১- ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া।
ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া মানে জামাত এর সাথে নামাজ আদায় করা। নামাজ এমন এক ঔষধ যা দিয়ে সকল রোগ ভালো হয়ে যায়। আমাদের নবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সকল সমস্যার সমাধান হলো নামাজ।
২- আল্লাহর জিকির করা।
মানুষ তখনই গুনাহ করে যখন আল্লাহর কে শরণ্যা করে। মানুষ গুনাহ করলে মানুষ এর কলব (অন্তর) কালো হয়ে যায়। যার কারনে আরও গুনাহের কাজে মজা পেতে থাকে। একমাত্র আল্লাহর জিকির করলে মানুষের কলব পরিস্কার হয়। আল্লাহর ভয় ডুকে। গুনাহের কাজ করতে ভালো লাগে না, আমল করতে মজা লাগে।
একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যখন জিকির করবেন তখন আল্লাহর দেয়ান ও খেয়াল এ জিকির করবেন। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ আপনার জিকির এর উত্তর দিচ্ছে। যেমন:
যখন (আল্লাহু আকবার) বলে জিকির করবেন তখন খেয়াল করবেন আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি এবং আল্লাহর আমাকে উত্তর দিচ্ছে "আমার বান্দা সত্য বলেছে"।
যখন (আলহামদুলিল্লাহ) বলে জিকির করবেন তখন খেয়াল করবেন আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি।
যখন (আল্লাহু) বলে জিকির করবেন তখন খেয়াল করবেন আমি আল্লাহ কে ডাকছি এবং আল্লাহর আমাকে উত্তর দিচ্ছে "বান্দা আমাকে ডাকো কেন? আমি ত তুমার কাছেই আছি"।
যখন (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বলে জিকির করবেন তখন খেয়াল করবেন আমি আল্লাহর প্রশংসা করছি এবং আল্লাহর আমাকে উত্তর দিচ্ছে "আমার বান্দা সত্য বলেছে"।
৩- হক্কানী আলেম-ওলামা বা পীর-মাশায়েখদের সহবতে থাকা।
হক্কানী আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ এর সহবেত থাকা মানে তাদের যে দিক নির্দেশনা মেনে চলা। আল্লাহর পথকে বা আল্লাহ ও নবী-রাসুলদের পথে চলার জন্য একজন উস্তাদ, বা মুরুব্বী প্রয়োজন। তাদের দেখানো পথ দিয়ে আমরা চললে আমাদের আমল করতে সহজ হবে এবং আমরা সহজেই গুনাহ থেকে বাচতে পারবো।
৪- বেশি বেশি মরণ এর কথা স্মরণ করা।
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বেশি বেশি মরণের কথা স্মরণ করতে বলেছেন। বেশি বেশি মরণের কথা স্মরণ করলে নফছ ধোকা দিতে পারবে না গুনাহ থেকে বাচা যাবে।
আলহামদুলিল্লাহ, এই ৪টি বিষয় গুলো আমরা সবাই আমল করলে আস্তে আস্তে আমরা গুনাহ এর কাজ থেকে বাচতে পারবো, নফছের ধোঁকা থেকেও বাঁচতে পারবো। আমরা সবাই কে জানানোর জন্য চেষ্টা করি।
0 Comments: