মেসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত - Islamic Bangla
মেসওয়াক করে নামাজ
নামাজ সবচেয়ে উত্তম ইবাদত। নামাজ ধারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। আর মেসওয়াক হচ্ছে নবীর করিম (সঃ) একটি সুন্নত। রাসূল (সাঃ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মেসওয়াক করে নামায পড়তেন।
নামাজের পূর্বে ওযু করা ফরজ। ওযু ছাড়া নামাজ হয় না। কারণ ও যার মাধ্যমে শরীর পাক হয়। আমাদের মুখ দিয়ে নামাজের কেরাত উচ্চারিত হয়। মেসওয়াক করলে মুখ পরিষ্কার হয়, দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মেসওয়াক রাসূল (সাঃ) এর একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।
মেসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত
এতে কোন সন্দেহ নেই মেসওয়াক করে নামাজ পড়লে আল্লাহ সেই নামাজের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। অনেক হাদীস বর্ণিত আছে, যে মেসওয়াক করে এক রাকাত নামাজ পড়ে ৭০ রাকাত নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়।
“যদি রাসূল (সাঃ) উম্মতের জন্য মেসওয়াক করা কষ্টদায়ক মনে না করতেন, তাহলে উম্মতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মেসওয়াক করা ফরজ করে দিতেন।”
(বুখারী শরীফ : ৮৮৭, নাসারি শরীফ : ৭, আবু দাউদ শরীফ : ৮৬, তিরমিজি : ২২)
মেরকাত গ্রন্থে দ্বিতীয় খন্ড তৃতীয় নম্বর পৃষ্ঠার এ উল্লেখিত আছে যে, মেসওয়াক করলে ৭০ টি ফায়দা। যার মধ্যে সর্বনিম্ন ফায়দা হচ্ছে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হবে।
আরো পড়ুন> আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার আমল!
এতে বোঝা যায় যে মেসওয়াক করে নামাজ পড়ার ফজিলত কত। আমরা সবাই এই ছোট্ট আমলটি করার চেষ্টা করব।
0 Comments: